প্রত্যয় নিউজডেস্ক: যখন উইকেটে এলেন, দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪৮ বলে ১০১ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্দ্রে রাসেলের জন্য খুব কঠিন ছিল না এ লক্ষ্য। কিন্তু চলতি সিপিএলে একই গল্পের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ম্যাচ হেরেছে রাসেলের জ্যামাইকা তালাওয়াজ।
যদিও রাসেল নিজে খেলেছেনও ২৩ বলে ৫০ রানের সাইক্লোন ইনিংস। কিন্তু কাজে লাগেনি সেটি। কেননা অপরপ্রান্ত থেকে যেমন মেলেনি যথাযথ সঙ্গ, তেমনি রাসেল নিজেও ঝড় তুলতে দেরি করে ফেলেন খানিকটা। যার ফলে শেষপর্যন্ত ১৯ রানের পরাজয়ই সঙ্গী হয়েছে টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা দলটির।
চলতি সিপিএলে এখনও পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত দল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স, আসরে ১৮০+ রান করা একমাত্র দলও তারাই। মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের মতো ১৮০ পেরিয়ে ১৮৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল তারা। যা তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের বেশি করতে পারেনি রাসেলের জ্যামাইকা।
১৮৫ রান তাড়া করতে নেমে যে উড়ন্ত সূচনা প্রয়োজন ছিল তা এনে দিতে পারেননি জ্যামাইকার টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান। চেষ্টা করেছিলেন ৩১ বলে ৪১ রান করা গ্লেন ফিলিপস। হতাশ করেন বাকিরা। ফলে ১২ ওভার শেষে ৪ উইকেটে মত্র ৮৪ রান করতে পেরেছিল জ্যামাইকা।
তখন উইকেটে আসেন রাসেল। কিন্তু তিনি উইকেটে থাকা সত্ত্বেও পরের ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান করতে পারে জ্যামাইকা, যেখানে ৭ বল খেলে ৭ রান করেন রাসেল। ইনিংসের ১৭তম ওভার থেকে মেরে খেলতে শুরু করেন রাসেল। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে যায় অনেক।
যে কারণে ৫ চার ও ৪ ছয়ের মারে রাসেল ২৩ বলে ৫০ রানের সাইক্লোন ইনিংস খেললেও ম্যাচ জিততে পারেনি জ্যামাইকা। নিজেদের অপরাজিত যাত্রা অব্যাহত রেখে টানা সপ্তম জয় তুলে নিয়েছে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। সমান ম্যাচে জ্যামাইকার এটি চতুর্থ পরাজয়।
এর আগে ত্রিনবাগোকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়ার কাজটি করেছেন কিউই তারকা কলিন মুনরো এবং দলের অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। ঝড়ো ক্যামিও খেলেছেন ওপেনার সুনিল নারিনও। ক্যারিবীয় ওপেনার লিন্ডল সিমনস ২৮ বলে ২৫ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলেন। তবে অপরপ্রান্তে ১১ বলে ২৯ রান করে ক্ষতি পুষিয়ে দেন নারিন।
পরে মুনরো ১০ চার ও ১ ছয়ের মারে ৫৪ বলে খেলেন ৬৫ রানের ইনিংস। আর শেষদিকে অধিনায়ক পোলার্ডের ৩ ছয়ের সঙ্গে ১ চারের মারে ১৬ বলে ৩৩ রানের ঝড়ে ১৮৪ রানে পৌঁছে যায় ত্রিনবাগো। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন কলিন মুনরো।